পূর্ণেন্দু ব্যানার্জি- গত পর্বে আমরা দেখেছি চম্বলের ডাকাতদের একটা ছোট্ট ইতিহাস। আজকের পর্বে থাকছে, দস্যু সুন্দরীদের রোমাঞ্চকর কাহিনি। অপহৃত ছোট মেয়েরা কীভাবে দস্যুজীবনে প্রবেশ করতো!
চম্বলঘাটিতে ভয়ঙ্কর মহিলা ডাকাতের তালিকায় নাম উঠে আসে, ফুলনদেবীর। কিন্তু তাঁর ইতিহাসটা ভিন্ন। সামাজিক পরিস্থিতি, ঠাকুরদের শোষণ, নীপিড়ন, প্রশাসনিক কর্তাদের দুর্ব্যবহার, মিথ্যে মামলা, সব মিলিয়ে দস্যু করে তোলে ফুলনকে।
অপরাধের ধরণ বিচার করলে, ফুলনদেবী বাগীদের মধ্যে পড়ে। তাঁর মূল শত্রুতা ছিল, ঠাকুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। শুধু ঠাকুর নয়, তাঁকে শোষণের শিকার হতে হয়েছে, বাগী সম্প্রদায়ের মধ্যেও। অগত্যা একটা সময়ে নিজের দল তৈরি করতে বাধ্য হয় ফুলন।
ফুলনদেবীর কাহিনি বাদ দিলে চম্বলের অপরাধের দুনিয়ায় আরও বহু কম বয়সী মহিলাদের আগমন ঘটেছে। সীমা পরিহার, নীলম গুপ্তা, সরলা, রেনু যাদবসহ আরও অনেকে।
ফুলনদেবী অপরাধ জগতে প্রবেশ করেছিল জীবনের এক অদ্ভুত অন্ধকারময় চোরাবাঁকে। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে শরণ নিতে হয়েছিল বাগীদের কাছে। তুলে নিতে হয়েছিল বন্দুক।
ঠাকুরদের হত্যা করেই চম্বলের বাঁজা জমিতে, এক নতুন ইতিহাসের বীজ বপন করেছিল ফুলন। কিন্তু সীমা পরিহার, নীলম গুপ্তা, সরলাদের কাহিনি একদম ভিন্ন, যা চটকদার রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্যে ভরপুর সিনেমার থেকেও কিছু কম নয়। কাহিনির শুরু ডাকু লালারামের পর্ব থেকে। উত্তরপ্রদেশের তখন কুখ্যাত বাগীর নাম লালারাম। নেহাত রোমাঞ্চ থেকেই লালারামের দলে যোগ দেয় নির্ভয় গুজ্জর। ধীরে ধীরে নির্ভয় হয়ে ওঠে লালারামের পালিত পুত্র।
সেখানেই নির্ভয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়, দস্যু সুন্দরী সীমা পরিহারের। সীমা পরিহার দাবি করেছিলেন, তাঁকে ছোটবেলায় গ্রাম থেকে তুলে আনা হয়েছিল। কিন্তু তার গ্রামের লোকেরা দাবি করেন, নেহাতই ভালোলাগা থেকে ডাকাতদলে ভিড়ে গিয়েছিল সীমা।
নির্ভয়ের সঙ্গে সীমা পরিহারের বিয়ের পরেই, নতুন দল তৈরি করে নির্ভয় গুজ্জর। ধীরে ধীরে এলাকা ও সদস্য সংখ্যা বাড়াতে থাকে নির্ভয়। তার হাত ধরেই বদলাতে শুরু করে চম্বলে অপরাধের ধরণ। বিস্তারিত ভিডিওতে…