Breaking News

কসাইখানা! হেরিটেজ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভাঙা হল ৫০০ বছরের পুরনো মন্দির

অর্বিট ডেস্ক ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে পুরনো স্থাপত্য তুলনায় অনেক কম। যাও রয়েছে, প্রশাসনিক অবহেলা আর রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ঔদাসিন্যে হারাতে বসেছে বাংলার প্রাচীন শিল্প স্থাপত্য।

অতি সম্প্রতি নির্বিচারে ভেঙে ফেলা হল, একটি প্রচীন শিবমন্দির। ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের গোপালবেড়া গ্রামে। বহরমপুরের একটি সংগঠন ইতিহাস ও সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেই ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে মন্দিরটি ধ্বংস করা হচ্ছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মত, টেরাকোটার এই মন্দির একটি হেরিটেজ স্থাপত্য। এগুলিকে সংরক্ষণ করার দায় সরকারের। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সরকারও নিজেদের আর্থিক সংকটের কথা ভেবে এদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে না।

আইনজীবী অরুণকান্তি পাল জানান, হেরিটেজ আইন অনুসারে, কোনও স্থাপত্যের ঐতিহাসিক মূল্য থাকলে, স্থাপত্যগত মূল্য থাকলে বা পরিবেশগত মূল্য থাকলে তা হেরিটেজ বলে বিবেচিত। এখানে এই মন্দিরটি অবশ্যই স্থাপত্যের মূল্য রয়েছে।

এমন বহু বাড়ি বা মন্দির রয়েছে, যা ঐতিহাসিক স্থাপত্যের মূল্য রয়েছে। সেগুলি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। আইন অনুসারে, সেগুলি সরকার অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু কিছু রাজ্য, আইনে সংশোধনী এনে, তার সংস্কারের দায়িত্ব মালিকপক্ষের উপরেই চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে, যাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, তাদের পক্ষে পুরনো বাড়ি, মন্দির হেরিটেজের আইন ও বিধি মেনে সংস্কার করা মুস্কিল। ফলে অনেকেই অবহেলা শুরু করেন, আর অপেক্ষ করেন, কবে নিজে থেকে ভেঙে পড়বে।

কিন্তু এখানে যেটি দেখা যাচ্ছে, এখানে কোনও বড় স্বার্থের, মন্দির ভাঙা হয়েছে। এর দায় স্থানীয় বিডিও, পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এড়াতে পারেন না। আইনের চোখে এটি অপরাধ। কোনও সাধারণ মানুষ হেরিটেজ স্থাপত্যের ক্ষতিসাধন করলে তার জেল জরিমানা হতে পারে। কিন্তু ভারতে দেখা গিয়েছে, এসব ক্ষেত্রে জননেতা, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের কিছুই হয় না।

ছবিটি প্রকাশের পর বিপুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, নেট নাগরিকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সরকারকে এর উদ্যোগ নিতে হবে। আর যে পুলিশ প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে এটা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আসে আর এক বিপত্তি। https://purbabardhaman.nic.in/ ওয়েবসাইটে দেওয়া খণ্ডঘোষের বিডিও প্রশাসনিক নম্বরটির 03451-253310 অস্তিত্ব নেই বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন- জয়ভীম ছবির পিছনে কি আন্তর্জাতিক হাত?

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন- Travel Tv Bangla

বিঃদ্রঃ ছবির সত্যতা অর্বিট নিউজের তরফে যাচাই করা হয়নি।

আমাদের চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান

About Orbit News

Check Also

বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির: এক জাগ্রত দেবী মন্দির, আসল রহস্য কী!

মন্দিরের পরিচিতি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল সর্বমঙ্গলা মন্দির। এটি কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় …

One comment

  1. পশ্চিমবঙ্গে যবে থেকে স্বৈরাচারী শাসকের শাসন চলছে।তবে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেব দেবী দের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। পুরাতন স্থাপত্য শিল্প কলা ভেঙ্গে ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!