পূর্ণেন্দু ব্যানার্জি- ভারতবর্ষ প্রথম থেকেই বিবিধ সংস্কৃতির দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিল। বহু সভ্যতা, সাম্রাজ্যের উদয় ও পতন দেখেছে এই ভূমি। মৌর্য, গুপ্ত আর মুঘল সম্রাজ্য আজও আমাদের সচেতন স্মৃতিতে জায়গা করে রেখেছে। এ ছাড়াও এই ভারতের বুকেই আরও বেশ কিছু সাম্রাজ্যের কাহিনি ইতিহাসের পাতায় চাপা পড়ে গিয়েছে।

৯ম শতাব্দীর কথা। যখন উত্তর ভারত ত্রিশঙ্কু লড়াইয়ের জেরে রাজনীতিতে টালমাটাল চলছে। পাল, প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূট তিন বৃহত সাম্রাজ্য দফায় দফায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কান্যকুব্জের জন্য। কিন্তু কেউ জয় ছিনিয়ে নিতে পারছিল না। ঠিক সেই সময় দক্ষিণ ভারতের একই ধরণের লড়াই চলছিল, চোল, পান্ড্য এবং পল্লবের মধ্যে। যার মধ্যে অন্তিম জয় ছিনিয়ে নেয় চোল সাম্রাজ্য।
আজকের পর্বে আমরা দেখব, চোল সাম্রাজ্যের ৪৫০ বছরের সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতনের ইতিহাস। চোল সম্রাজ্য শুধুমাত্র ভারতেই নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও এক শক্তিশালী প্রভাবশালী সাম্রাজ্য হিসেবে বিস্তার লাভ করে। এই পর্বেই আমরা জানব, একটি ছোট সাম্রাজ্য কাবেরী স্রেফ শক্তিশালী নৌসেনার উপর ভর করে বদ্বীপ থেকে উঠে, ভারত মহাসাগরের বুকে একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এবং চোল সাম্রাজ্যের অভিমুখ ঠিক করেছিল।

চোল রাজ্যের সূত্রপাত
প্রায় ৩০০ খ্রিঃপূর্বাব্দে কাবেরী বদ্বীপের পাশে গড়ে ওঠে ক্ষুদ্র চোল রাজ্য। যার সূত্র মেলে অশোকের শিলালেখে। ঐতিহাসিকরা এই পর্বকে প্রাক চোল রাজ্য বলে দাবি করেন। কিন্তু সেই সময় চোল রাজ্য একটি স্বতন্ত্র রাজ্যই ছিল, যা কাবেরী নদীর বদ্বীপ অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু চোল সাম্রাজ্যের উত্থান শুরু হয় ৮৫০ খ্রিস্টাব্দে। এই সময় চোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিজয়ালিয়া। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই সময় চোল মূলত পল্লবের অধীন সামন্ত রাজ্য ছিল। ৬ থেকে ৭ম শতক পর্যন্ত কাবেরী বদ্বীপের দুটি সাম্রাজ্য কাঞ্চির পল্লব এবং মাদুরাইয়ের পান্ড্যর মধ্যে বিভক্ত ছিল। পান্ড্যা কেরালা ও মাদুরাইয়ের শাসক ছিল। অন্যদিকে পল্লব, তেলেগু ভাষাভাষী এলাকায় রাজা। পল্লবের এক রাজা ছিলেন নরসিংহবর্মন, তিনি দ্বিতীয় পুলকেষণকে হারিয়েছিলেন। সেই পুলকেষণ যিনি কান্যকুব্জের রাজা হর্ষবর্ধনকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু এই পল্লব সাম্রাজ্য ৯ম শতাব্দীতে আসতে আসতে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে।
৯ম শতাব্দীতে যখন দক্ষিণভারতে দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে গণ্ডগোল চলছে, তখন সুযোগ বুঝে চোল রাজা বিজয়ালিয়া পান্ড্যার তাঞ্জাভূুর দখল করে নিজের রাজধানী বানিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে বিজয়ালিয়ার পুত্র আদিত্য, পল্লব সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে নিজের সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটায়।

ভারতের ভিন্ন রাজ্যেকে একত্রিত করার উদ্যোগ
৯২৫ খ্রিস্টাব্দে চোল রাজা পরান্তক রাষ্ট্রকূটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয়। ভয়ানক হার হয় রাজা দ্বিতীয় কৃষ্ণের। এর পরেই চোল সাম্রাজ্য বিস্তার হয় উত্তরের দিকে। যদিও চোল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা হিসেবে জানা যায়, প্রথম রাজরাজা চোলা এবং প্রথম রাজ্যেন্দ্র চোলা। এদের সময়েই উত্তরের কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিন থেকে দক্ষিণের শ্রীলঙ্কা মলদ্বীপ এবং লাক্ষাদ্বীপেও প্রভাব বিস্তার করে। পাশাপাশি পূর্বে মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। রাজরাজার পরেই ক্ষমতায় বসেন রাজেন্দ্র। তাঁর আমলেই অভিযান চালানো হয় গঙ্গা বেসিন। উড়িষ্যা ও পাল রাজ্যের উপর জয়। এর পরেই গঙ্গাইকোন্ডা চোলা শিরোপা পান তিনি। যাঁর অর্থ গঙ্গা বিজয়ী। এই জয়ের পর, জাঁকজমক ভাবে রাজধানীতে বিজয় উৎসব পালিত হয়। সেই সময় গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপূরম নামে নতুন রাজধানীর স্থাপনা করেন। যা বর্তমানে তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। ১০২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রায় ২৫০ বছর চোলা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপূরম।

চোল সাম্রাজ্যের বিস্তার বিদেশে
চোল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল বিদেশ জয়। যার জন্যই ইম্পিরিয়াল চোলা বা সাম্রাজ্যবাদ চোলা তকমায় ভূষিত করা হয়। চোলাকে ইম্পিরিয়াল বলার কারণ, নিজের সেনাবাহিনী শক্তিকে ভর করে বিদেশের রিসোর্সকে ব্যবহার করতো। পরবর্তী সময়ে ঠিক যেভাবে ভারতে ব্রিটিশরা করেছিল। বহু ঐতিহাসিক চোল সাম্রাজ্যের এই নীতিকে সিউডো কোলোনিয়ালিজমও বলে থাকে।
চোল রাজ্যের রাজা পরান্ততের প্রথম অভিযান ছিল শ্রীলঙ্কা। সেই অভিযানে শেষ জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন পরবর্তী রাজা রাজরাজা। রাজরাজার এই অভিযানকে কিছু প্রচীন ইতিহাসবিদ শ্রীরামের যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাজরাজার আমলেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন। তবু রাজা রাজেন্দ্র, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার স্বাধীন রাজা শ্রীবিজয় রাজ্যে হামলা চালায়। এবং জয় পাওয়ার পর, পরক্ষোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজেন্দ্র। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, জলপথে এতো ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল অভিযান কেন করেছিলেন রাজেন্দ্র? ? যেখানে প্রত্যক্ষ শাসনের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে, সেই সময়কার অর্থনীতি, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে।
রাজেন্দ্রর এই অভিযানের কারণ ছিল, কম্বোডিয়ার অঙ্কোর রাজ্যে সঙ্গে শ্রীবিজয় রাজ্যের দ্বন্দ্ব। অঙ্কোর ছিল চোলের সহযোগী। অঙ্কোর এবং শ্রীবিজয়ের মধ্যে যখন যুদ্ধ হয়, তখন রাজেন্দ্র শ্রীবিজয়ের উপর হামলা চালায়। এটি গেল একটি থিওরি। অন্য আরও একটি থিওরিও রয়েছে। মনে করা হয়, তামিল গিল্ড এবং সাগরপথে সিল্করুটের রাজনীতি হামলার অন্যতম কারণ।

আসলে আরবের আব্বাস খালিফা এবং চিনের টাং সাম্রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। দক্ষিণভারত এবং মালয় বন্দরের বড় ভূমিকা ছিল। যেখানে, জাহাজের ট্রান্সিট পয়েন্ট ও রসদ নেওয়ার জন্য ঘাঁটি গাড়তে হত। এই বাণিজ্যের মনোপলি ছিল তামিল গিল্ডের কাছে। যার নিয়ন্ত্রণ মালয় বন্দরেও ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে জাহাজ শিল্পে উন্নতি আসে। ফলে দুটি বন্দর ছাড়াই জাহাজ চলাচল করতে শুরু করে। কার্যত গুরুত্ব হারায় দুটি বন্দর। আর অধিকাংশ জাহাজ কেবল মালয় বন্দরেই নোঙর করতে থাকে। এর ফলে ভারতীয় তামিল গিল্ডের ক্ষয়ক্ষতি হতে থাকে। পরবর্তা সময়ে শ্রীবিজয় রাজ্য মায়লে থাকা তামিল গিল্ডের সঙ্গেও বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। ফলে, তামিল গিল্ডের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। মনে করা হয়, এই তামিল বাণিজ্যগোষ্ঠীদের অভিযোগের কারণেই রাজেন্দ্র মালয়ে শ্রীবিজয় রাজ্যে হামলা চালান।
রাজ্যের ভয় ছিল, ভবিষ্যতে, শ্রীবিজয় রাজ্য যদি শত্রুপক্ষকে সমর্থন করে, তাহলে চোল সাম্রাজ্যের প্রভাব চুরমার হয়ে যাবে।
কারণ যাই থাক, রাজা রাজেন্দ্র তাঁর দক্ষ ও কুশলী, অপ্রতিদ্বন্দ্বী নৌসেনার কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ক্ষমতা কায়েম করতে পেরেছিলেন।
রাজ্যেন্দ্রর নৌসেনা এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, তাঁর স্মৃতিতে ১৯৭২ সালে ভারতের একটি নেভাল ট্রেনিং অ্যাকাডেমির নাম টি এস রাজেন্দ্র রাখা হয়। যাইহোক, মালয়ে অভিযানের পর শ্রীবিজয় রাজ্য খতম হয়ে যায়। এবং ছোট ছোট সামন্ত রাজা উঠে আসে। যাঁরা চোল সাম্রাজ্যের নীতি ও সেনাবাহিনী গ্রহণ করে। এর ফলে, প্রায় এক শতাব্দী ধরে মালয়ে তামিল গিল্ডের নিয়ন্ত্রণ থেকে। সেই সঙ্গে ভারত মহাসাগরের সিল্করুটে চোলার আধিপত্য।
চোল সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ
চোল সাম্রাজ্যের বিস্তার পর্বকে সভ্যতার স্বর্ণযুগও বলা হয়। কারণ এই সময়ে বিপুল পরিকাঠামো উন্নয়ন, মন্দির নির্মাণ, ব্রোঞ্জের ব্যবহার হতে থাকে। কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাবেরী নদী ভার করে বিশাল প্রণালী তৈরি করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম, ওয়াকোন্ডান এবং রাজেন্দ্র ভায়াক্কাল। প্রণালী ছাড়াও বিশাল জলাধারও নির্মাণ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম, গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপূরমের ষোল মাইল লম্বা ষোলাগঙ্গম। যাকে লিক্যুইড পিলার অফ ভিক্ট্রি বলা হয়।
মন্দিরের প্রসঙ্গ ধরলে, রাজরাজা আগের রাজারাও বেশ কিছু মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। যা সাইজে খুব বেশি বড় ছিল না। কিন্তু চোল স্থাপত্য ধরা পড়ে রাজরাজার আমলে। যা পুরনো মন্দিরগুলির তুলনায় পাঁচ গুন বড় । তাঞ্জাভূরের বৃহদেশ্বর মন্দির রাজরাজার আমলে তৈরি। প্রায় ২৫ বছর বাদে তাঁর পুত্র একই নামে গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপূরমে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। তৃতীয় ছোট মন্দিরটি হল, ঐরাবতেসুরা, দারাসুরাম। এটি নির্মাণ করেন রাজরাজা দ্বিতীয়। চোল মন্দির দ্রাবিড় স্থাপত্যের অন্যতম উদাহরণ।
চোল শাসকেরা শৈবধর্মী ছিলেন। তাই তাঞ্জাভুরের বৃহদেশ্বর মন্দিরে শিবের উপাসনা করা হয়ে থাকে। আর এখানেই সারা ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই মন্দির শুধুমাত্র উপাসনা স্থলই ছিল না। রাজাদের দানের কারণে, গ্রামের উন্নয়নের মন্দিরের বড় ভূমিকা ছিল। এই সময়কালে চোল সাম্রাজ্যে সাহিত্যেও বেশ উৎকর্ষতা লাভ করে।
চোল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা
চোল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড বিচার করলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নজরে আসে। তাল পাতা উপর লেখনি প্রস্তুত করে সেই সময় রেকর্ড সংরক্ষণ করা হত। সেখানে জমিজমা সংক্রান্ত হিসাব নিকাশ থেকে ইন্টেলিজেন্স রেকর্ডও রাখা হত। চোল সাম্রাজ্য ৯টি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। যাদের বলা হত মণ্ডলম। প্রত্যেক মণ্ডলমে একজন করে গভর্নর এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণ সেনা থাকত। প্রদেশগুলিকে নাড়ু নামে বিভাজন করা হয়েছিল। যেখানে স্বশাসিত ক্ষমতা দেওয়া ছিল।
চোল সাম্রাজ্য পুরোপুরি কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা থাকলেও, আঞ্চিল স্তরে স্বশাসনের সুযোগ ছিল। আর এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল রাজরাজা প্রথমের আমলে। প্রত্যেক গ্রামেও স্বশাসনের ব্যবস্থা ছিল। সেইসব সভায় সমস্ত বর্ণের নাগরিকরাই জায়গা পেত। এই শাসন ব্যবস্থার ছায়া আধুনিক ভারতে পঞ্চায়েতি রাজের সঙ্গে অনেকটাই মেলে।
চোল সেনাবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল নৌসেনা। মার্কোপোলোর একটি লেখা থেকে জানা যায়, চোল সাম্রাজ্যের রাজার মৃত্যুর পর, তার দেহরক্ষিরাও আগুনের মধ্যে নিজেদের সমর্পিত করত।
চোল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ
পরবর্তী সময়ে চোল সাম্রাজ্যের রাজা হন কুলথুঙ্গা (প্রথম), বিক্রম চোলা, কুলথুঙ্গা (তৃতীয়)। প্রথম দুই রাজার সময়েও সাম্রাজ্যের সীমানা অখণ্ড ছিল। কিন্তু কুলথুঙ্গার (তৃতীয়) সময় থেকে চোল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। এর প্রথম কারণ, শ্রীলঙ্কায় সিংহল রাজবংশের উত্থান। এর ফলে, শ্রীলঙ্কা থেকে চোল সাম্রাজ্যের নাম নিশান উড়ে যায়। দ্বিতীয় কারণ, হল, ১২১৬ খ্রিস্টাব্দের পর রাজরাজা (তৃতীয়) এবং রাজেন্দ্রর (তৃতীয়) মতো দুর্বল শাসক । ইতিহাসের এক সূত্র থেকে জানা যায়, রাজরাজাকে (তৃতীয়) তারই কোনও এক সামন্ত রাজা, পণবন্দি করে ফেলেছিল। এছাড়া তৃতীয় কারণ হল, পান্ড্যা রাজ্যের নব উত্থান এবং হোয়েশালা রাজ্যের দ্বন্দ্বমূলক রাজনীতি। চোল সাম্রাজ্যের দুর্বল অবস্থায়, পান্ড্যা এবং চোলার বিরুদ্ধে লড়িয়ে হোয়েশালা নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে থাকে। হোয়েশালা চোলা সাম্রাজ্যকে আটকাতে সমর্থ হলেও, পান্ড্যাকে আটকাতে পারেনি। পান্ড্যা প্রথমে হোয়েশালাকে তারপরে, চোল রাজ্য দখল করে।
আরও পড়ুন- পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে বিস্ময়কর প্রাচীন মন্দির
চোল সাম্রাজ্যের চিহ্ন ভারত থেকে মুছে গেলেও, ১৬ শতাব্দী পর্যন্ত ফিলিপিন্সে একটা অংশে ছাপ ছিল। এই রাজবংশ শুরু হয়েছিল, ভারতীয় এক চোল রাজা রাজমুডা লুয়াডা প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ফিলিপিন্সে স্প্যনিশরা দখল জমালে সেই রাজবংশেরও অবলুপ্তি ঘটে।
চোল সাম্রাজ্যের এমনই এক খণ্ডিত ইতিহাসকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিখ্যাত ছবি পেন্নিয়ান সেলভান (Ponniyin Selvan: I) চলচ্চিত্র।

দেশে বিদেশের এমন বহু ভ্রমণ ঐতিহাসিক তথ্য জানতে আজই আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান।