অর্বিট ডেস্ক– ডিসেম্বরের শেষ, হাড় কাঁপানো ঠান্ডার রেশ ছিল বারাণসীতে। মাঝে দু একদিনের জন্য হিমেল হাওয়ার দাপট কমলেও, ক্ষণিক বৃষ্টির ঝটকা ফের প্রবল ঠান্ডার আমেজ বাড়িয়ে তুলেছিল।
ডিসেম্বর মাস। বারাণসীর গোধুলিয়া চত্বরে থিকথিক করছে ভিড়। প্রায় প্রত্যেকটি হোটেল থেকে ধর্মশালায় ভর্তি পর্যটক। অধিকাংশ মুখ বলতে সেই এক এবং অদ্বিতীয় বাঙালি।

১৩ ডিসেম্বর কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী তথা বারাণসীর সাংসদ নরেন্দ্র মোদী। ফলত বারাণসী জুড়ে এক মহা সাজো সাজো রব। চারপাশটাই বদলে গিয়েছে। বারাণসীর পুরনো চেনা ছবিটাই যেন পাল্টে গিয়েছে। ঢেলে সেজে উঠেছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। আশে পাশের বাড়ি, ছোটখাটো মন্দির সরিয়ে এক প্রকাণ্ড একক, অদ্বিতীয় মন্দির হয়ে উঠেছে বিশ্বনাথ মন্দির। আলোর রোশনাইয়ে ঝলমল করছে গোধুলিয়া চত্বর থেকে বিশ্বনাথ গলি পর্যন্ত।

আগের থেকে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বারাণসীতে। গলির রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়েছে পাথরে। প্রচীন ঘরানাকে মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। আগে গলিপথ থেকে গঙ্গারঘাটগুলি যতটা নোংরা আবর্জনায় ভর্তি থাকতো তা অনেকটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আগে বারাণসীর অলিতে গলিতে যে উদাসীন ষাঁড়ের দেখা মিলত, এখনও তারও দেখা মেলে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, যোগী আদিত্যানাথ রাজ্যের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে গোশালা।বারাণসীতেও এমন গোশালা তৈরি হয়েছে। এখন সেখানেই ঠাঁই হয়েছে পথে ঘুরে বেড়ানো ষাঁড়েদের। নিয়মিত খাদ্য,স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকে তারা।
হাতে যাঁদের দু চারটে দিন আছে ও বারাণসী বেড়ানোর প্ল্যান করছেন, তাঁরা এই সফরসূচি ফলো করতে পারেন।
১ দিন- হাওড়া থেকে ট্রেন ধরুন বিভূতি অথবা দুন এক্সপ্রেস।
২ দিন-সকালে বারাণসীতে নেমে সোজা চলে আসুন গোধুলিয়া চত্বরে। এখানে বেশ কিছু হোটেল ও ধর্মশালা রয়েছে। হোটেলে ঢুকে ফ্রেস হয়ে একটি টোটো বা অটো ভাড়া করে দেখে নিন তুলসী মানস মন্দির, সঙ্কটমোচন মন্দির, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। সন্ধে নাগাদ দেখে নিন দশাশ্বমেধ ঘাটে আরতি।
৩ দিন- ভোরেই বেরিয়ে পড়ুন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে, পুজো দিতে পারেন। দেখে নিন, অন্নপূর্ণা মন্দির, কালভৈরব মন্দির। দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে মানমন্দিরের সূর্য ঘড়ি। এরপর সোজা চলে যান রামনগর ফোর্ট দেখতে। রামনগর দেখা শেষ হলে চলে আসুন সারনাথ।
৪দিন। এদিন একটু লম্বা সফর, প্রথমেই চলুন বিন্ধ্যাচল, তারপর চুনার ফোর্ট। ওখান থেকে সোজা বেরিয়ে যেতে পারেন প্রয়াগরাজ বা এলাহাবাদ। নয়তো ফিরে আসুন বারাণসীতে। রাতে ট্রেন ধরুন কলকাতার উদ্দেশে।