নন্দীগ্রামে শেষ দফার প্রচারে মুকুল রায়ের প্রতি নরম সুর শোনালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার পর্ব চলাকালীন বিজেপির ঘরে ভাঙন ধরানোর ফুলটস বল খেললেন তিনি।তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয় মুকুল।’’ আশপাশের এলাকা বাদ দিয়ে, মুকুলকে কেন কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে তা নিয়ে আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। জোড়াফুল শিবিরের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের প্রশংসার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে ফের এক বার নিয়েছেন মমতা।
মঙ্গলবার টাঙ্গুয়ার জনসভায় গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। আর এই প্রসঙ্গে নাম আসে মুকুল ও শুভেন্দুর। তিনি নরম সুরে মুকুলের প্রতি কার্যত সহানুভূতিশীল হয়ে বলে, ‘‘মুকুল বেচারা থাকে কাঁচরাপাড়া। ব্যারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়া, এটা ওর নিজের এলাকা। ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণনগর।’’ এর পরই মন্তব্য, ‘‘মুকুল শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয়। অন্তত এটা আমি বলব।’’ এর পরই অবশ্য মুকুল এবং শুভেন্দুকে একাসনে বসিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা যখন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তখন এটা ওদের ব্যাপার। ওরা অন্য রাজনৈতিক দল করে।’’ পাশাপাশি দু’জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতার বার্তা, ‘‘ওরা ভাল থাকুক, সুখে থাকুক। আমার কিছু যায় আসে না।’’।
২০০১ সালে তিনি বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন মুকুল। কিন্তু তার ফল ভালো ছিল না। দীর্ঘ ২০ বছর পর, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মুকুল। যদিও, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনটি অনেকটা ‘নিরাপদ’ বলে মনে করা হয়েছে। লোকসভা ভোটে ওই বিধানসভা কেন্দ্রটিতে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল সাড়ে ৫৩ হাজার। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয় বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের। তিনি জানান, দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিভাজনের বিষ মাখাতে এমন চাল দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই চালে তেমন কোনও ফল পাবে না তৃণমূল।
