সোমরাবাজারের ইতিহাস ও প্রধান মন্দির
হুগলি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থান সোমরাবাজার, যা মূলত তার প্রাচীন মন্দিরগুলোর জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলের মন্দির স্থাপত্য বাংলার নবদ্বীপ ও বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৭শ-১৮শ শতকে জমিদার ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা এখানে বহু মন্দির নির্মাণ করেন, যা আজও বাংলার গৌরবময় অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে।
১. রাজরাজেশ্বরী মন্দির
১৭৮৫ সালে নির্মিত রাজরাজেশ্বরী মন্দির সোমরাবাজারের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। টেরাকোটার কারুকাজে সাজানো এই মন্দিরের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
২. পাঁচরত্ন মন্দির
এই মন্দিরটি টেরাকোটার অলংকরণ এবং পাঁচটি শিখর বিশিষ্ট স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত। জমিদার হরিরাম মুখার্জি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।
৩. অন্নপূর্ণা মন্দির
সোমরাবাজারের আরেকটি দর্শনীয় মন্দির হলো অন্নপূর্ণা মন্দির। প্রতি বছর এখানে বিশেষ পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।


সোমরাবাজারে কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে সোমরাবাজার পৌঁছানো বেশ সহজ।
- রেলপথে: হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকাল ট্রেনে সোমরাবাজার স্টেশনে নেমে অটো বা টোটো ধরে মন্দির এলাকায় পৌঁছানো যায়।
- সড়কপথে: হাওড়া থেকে গাড়িতে বর্ধমানগামী হাইওয়ে ধরে পাণ্ডুয়া হয়ে সোমরাবাজার যাওয়া যায়, যা প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরত্ব।
সফর পরিকল্পনা ও উপসংহার
সোমরাবাজার তার ঐতিহাসিক মন্দির ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল। যারা বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্য।
