আজ থেকে প্রায় ২০০ বছরেরও আগের এক ঘটনা। তখনও ভারতরে ব্রিটিশ শাসনকাল চলছে। ভারতে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটিশ আর্মির এক অফিসার ছিলেন চার্লস স্টুয়ার্ট। ১৭৫৮ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাডেট হয়ে ভারতে আসেন।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভারতে ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি জায়গা ভ্রমণও করেছেন। যদিও তাঁর জীবনে অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট ছিল মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন ভ্রমণ। দিনটা কোনও এক সোমবার ছিল, ভোরেই তিনি পায়চারি করতে বেরোলেন শিপ্রা নদীর তীর ধরে। তিনি খেয়াল করেন, এক সাধু মহাকালেশ্বর মন্দিরের অদূরে শিপ্রা নদীর গাঁ ঘেঁষা রামঘাটের কাছে একটি বট গাছের নীচে বসে ধ্যান করছেন।
স্টুয়ার্ট সাহেবের কী যেন মনে হল! কেমন একটা খটকা লাগল মনে, অত্যন্ত ধীর পায়ে, তিনি গেলেন সাধুর কাছে। তিনি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন, মাথায় একরাশ জটা, পরণে শুধুমাত্র কৌপিন, গলায় ঝুলছে, বেশ কয়েকটি রুদ্রাক্ষের মালা। পীঠের শিঁরদাঁড়া বেয়ে নেমে এসেছে একটা কালো রেখা। কিছুক্ষণ পিছন থেকে দেখার পর, এবার সাহেব সামনে এগিয়ে গেলেন।
সাধু তখনও ধ্যানে মগ্ন, তবু সাহেব এক দৃষ্টে সাধুর দিকে তাকিয়ে রইলেন। তিনি ঠিক কী বোঝার চেষ্টা করছেন, কী পর্যবেক্ষণ করতে চাইছেন, বোঝা মুস্কিল। শিপ্রা নদীর তীরে রামঘাটে সাধুর সামনে বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। ধীরে ধীরে চোখ খুললেন ওই যোগী। তাঁর চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই, কেমন একটা সাহেবের শরীরে বিদ্যুতের ঝলক বয়ে গেল।
সম্পূর্ণ কাহিনী ভিডিওতে
