অর্বিট ডেস্ক- ভ্রমণের ক্ষেত্রে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যতগুলি দেশ আছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেস্টিনেশনের মধ্যে রয়েছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর। কিন্তু আতিথেয়তার নিরিখে সব দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই সারা বিশ্ব জুড়ে করোনা তাণ্ডব চালিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ভ্রমণ। সেই রেশ চলছে ২০২১ সালেও। এরই মাঝে একটি আন্তর্জাতিক স্তরে ভ্রমণ সংক্রান্ত অনলাইন সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
অধিকাংশ পশ্চিমী দুনিয়ার নাগরিকরা জানিয়েছে, তাদের কাছে সবথেকে হট ডেস্টিনেশন হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি। তার প্রধান কারণ লো কস্ট ট্যুরিজিম বা কম খরচে ভ্রমণ করা যায়। সেই পরিসংখ্যানের নিরিখে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম।
আরও পড়ুন- ছোট ছুটির খোঁজে ওডিশা
কিন্তু আতিথেয়তার নিরিখে বিচার করলে সবার আগে নাম উঠে এসেছে বাংলাদেশের। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অধিকাংশের মত, বাংলাদেশে একটা প্রাচীন সংস্কৃতি রয়েছে, বিশেষ করে গ্রাম বাংলা ও সেখানকার মানুষের আচার ব্যবহার। যদিও ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া, বাকি জায়গা যতটা সাজানো যেত, ততটা ভ্রমণের উপযুক্ত করে তুলতে পারেনি। যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর, গাজীপুর, বরিশাল, খুলনা অ়ঞ্চলকে অনায়াসে ভ্রমণ কেন্দ্রীক করে সাজিয়ে তোলা যেত, কিন্তু সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি।
তবে বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা বা মেহেমান নাওয়াজি সব দেশকে ছাপিয়ে গেছে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদ সমস্যাও। এক শ্রেণির মানুষের জন্য দেশের বহু মানুষ বিপাকে পড়ে। বাইরের জগত থেকে বাংলাদেশকে যতটা ভয়ঙ্কর মনে হয়, বিশেষ করে সোশাল মিডিয়াতে তা একদমই নয়। বরং সেখানকার গরীব, দরিদ্র মানুষ যে কোনও সময় যে কোনও পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত, এই চিত্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তেমন কোনও দেশে দেখা যায়নি।
সমীক্ষায় মায়ানমারের ভ্রমণ পরিস্থিতি নিয়েও একটি বিভাগ ছিল, অদ্ভুত ভাবে, মায়ানমারকে কোনও সারিতেই রাখতে চায়নি পশ্চিমী দুনিয়ার নাগরিকেরা। স্বল্প সংখ্যাক যাঁরা মায়ানমার নিয়ে কথা বলেছেন, তা নেতিবাচক। আর মায়ানমারের বর্তমান খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।