অর্বিট ডেস্ক- তামিলনাড়ুর কুন্নরে পাহাড়ের কোলে আচমকাই ভেঙে পড়ে সেনা বিমান Mi-17V5। অকাল মৃত্যু হল, সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ ১২ জনের। আর এই ঘটনার পরেই দেশ জুড়ে উঠতে শুরু করেছে, নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা!
এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক আলাদা ভাবে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল তৈরি করেছে। সূত্রের খবর, মূলত দুটি প্রশ্নের প্রাথমিক উত্তর খোঁজা হচ্ছে। ১। এটি কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি, ২। এর পিছনে রয়েছে কোনও নাশকতা চক্র।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যে সংগ্রাহ করা হয়েছে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্স। যে কোনও হেলিকপ্টার বা প্লেন ক্রাশের তদন্তের ক্ষেত্রে এই ব্ল্যাক বক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। এই রের্ডারের ডেটা বিশ্লেষণ করেই ধাপে ধাপে মূল সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে তদন্তকারী দল।
প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে তিন সদস্যে একটি তদন্তকারী দল তৈরি করেছে। নেতৃত্বে রয়েছেন, মানবেন্দ্র সিং। তিনি ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্টের ট্রেনিং কমান্ড। এছাড়া রয়েছেন উইং কমান্ডার পি এস চহ্বান ও স্কোয়ার্ডন লিডার কুলদীপ সিং।
তদন্তকারীদের প্রথমিক ধারণা, শীতকাল পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়া ও কুয়াশার আচমকা পরিবর্তন হতেই পারে। সেক্ষেত্রে বিমানের গতি সমানতালে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে, ভিআইপি বিমান বা যে কোনও যানবাহনের পরীক্ষা অত্যন্ত কড়া ভাবে করা হয়ে থাকে। সেখানেও কোনও হিমউম্যান এরোর ছিল কিনা, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে আপাতগ্রাহ্যতায় মনে করা হচ্ছে এটি দুর্ঘটনা। যদিও নাশকতার দিক একদমই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তথ্য প্রমাণ যে ভাবে মিলবে, সেই দিকে সন্দেহের তীর ছুটবে।